ধোলাইখাল এলাকা হিসেবে ধোলাইখালের প্রতিষ্ঠাও ঢাকার সঙ্গে সঙ্গেই। বাংলার রাজধানী ঢাকা হওয়ার পর প্রথম সুবাদার ইসলাম চিশতী (১৬১০-১৩ খ্রিস্টাব্দ) বুড়িগঙ্গার সঙ্গে দুলাই নদীর সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি খাল খনন করেছিলেন, যা পরে ধোলাইখাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মোগল নৌবাহিনীর যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এ খাল নির্মাণ করা হয়। ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য এ খালের ওপর বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। লোহারপুলের কল্যাণেই ধোলাইখাল হয়ে উঠেছিল দর্শনীয় এক স্থান। ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ কর্মচারী কর্নেল ডেভিডসনও তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে এ পুলের কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯০৯ সালে ধোলাইখাল এবং তার শাখা-প্রশাখাসহ ১২ মাইল জলপথ বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দেন তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা। ১৯১৭ সালে প্যাট্রিক গেড্ডেস এর নাব্যতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন। ১৯৪০ সালেও ধোলাইখাল তার স্বকীয়তা অনেকটা ধরে রাখে। ধীরে ধীরে এর প্রশস্ততা কমতে থাকলে ১৯৬৪-৬৫ সালে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এর সংস্কার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১, ১৯৮৭ এবং সর্বশেষ ২০০০ সালে খালটি ভরাটের মাধ্যমে হত্যা করা হয় ধোলাইখালকে।
Source: Daily Kalerkantho
Sunday, January 2, 2011
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment